ভাদেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত মোট পাঁচটি স্থানে মন্দির আছে- যথা:-
১. কুলিয়া মন্দির
২. কাটাখালেরপার
৩. পূর্ব ভাগ, ভাদেশ্বর
৪. শেখপুর
৫. খমিয়া পাত্তন
ক্র:নং | মন্দিরের নাম | মন্দিরের অবস্থান |
১. | রামকৃষ্ণ মিশন | নায়েরপুর পয়েন্ট, সিলেট। |
২. | দূর্গাবাড়ী মন্দির | টিলাগড়, সিলেট। |
৩. | কালিবন্দির | কালিঘাট, সিলেট। |
৪. | ব্রহ্মময়ী মিন্দর | মাছুদিঘির পাড়, সিলেট। |
৫. | বিশ্বম্ভরজীর আখড়া | নয়াসড়ক, সিলেট। |
৬. | গোবিন্দ মন্দির | জিন্দাবাজার, সিলেট। |
শ্রী শ্রী নববৃন্দাবন গোপাল মন্দির’
একনজরে গোপাল মন্দিরের ইতিহাস:মানুষ যখন বিপথগামী হয়েছে অর্থ্যা ধর্ম বিমুখ অশুভ শক্তি যখনই আধিপত্য বিস্তার করেছে তখনই ঈশ্বর অবতার হয়েছেন অথবা মহা পুরুষদের আগমন ঘটিয়েছেন। দুস্কৃতিকারীদের বিনাশ সাধুদের পরিত্রাণ ও ধর্মরক্ষার জন্য এমনি এক অন্ধকারাচ্ছন্ন কলি যুগের এক মুহূর্তে নবদ্বীপ অবতার রূপে অবর্তীণ হয়ে ছিলেন শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য গৌরাঙ্গ মহা প্রভু। তিনি এসেছিলেন বাংলাদেশের এই “শ্রীহট্র” বিভাগের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ গ্রামে। তিনি ভাসিয়ে তুলে ছিলেন শ্রী কৃষ্ণ প্রেম দিয়ে সব ভক্তবৃন্দকে। আর এমনই কলি সন্ধ্যায় আমাদের মধ্যে আবির্ভূত হয়েছেন শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু আর্শিবাদ পুষ্ট চূড়ামনি দেব নাথ ও অনিমা রানী নাথ এর কনিষ্ট পুত্র কৃপাশ্রী মূর্তি/শ্রী মিন্টু চন্দ্র দেব নাথ। যাহার পৈতৃক ভিটে এই শ্রীহট্রে জেলার, গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণভাগ (রাম্পা) গ্রামে।
সেই ছেলের বয়স আনুমানিক তের বা চৌদ্দ বছর। ১৪১৩ সালের ফাল্গুন মাসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হল, কোন ফল হয়নি। এভাবে চলে গেল পাঁচটি মাস, কিন্তু কোন আরোগ্য লাভ হল না। দিনে দিনে আহার ছেড়ে দিলেন সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকেন কোন কথা বলেন না। মা তো ছেলের চিন্তায় প্রায় পাগলের মত। অনেক টাকা পয়সা খরচ করিয়েছেন কোন পরিবর্তন নেই। শেষে ক্লিনিকে ভর্তি করালে সেখানে ও ডাক্তার কোন রোগ পায় নাই। ১৬ ই শ্রাবণ ১৪১৪ বাংলা মাতা অনিমা বালা স্নান করে দুপুর ১২.৪৫ মিনিটে ভক্তি দিয়ে বললেন “হে পরমেশ্বর ভগবান আমার ছেলেকে নিয়ে আজ আমি নিরুপায়। কোথায় গেলে কি করলে আমি আমার ছেলেকে ভাল করে তুলতে পারব। আপনি যা আদেশ করবেন আমি তা পালন করব”। সত্যিই পরমেশ্বর ভগবান অপার করুনাময় দয়া হলো সেই মায়ের প্রতি। ১৬ ই শ্রাবণ ১৪১৪ বাংলা ২ রা আগষ্ট ২০০৭ ইং রোজ বৃহস্পতিবার নাগ পঞ্চমী তিথিতে রাত্র ১২.১৫.১৭ সেকেন্ডে শুভ আবির্ভাব হন এবং আদেশ করেন আমি তোর ছেলেকে গোপাল কুলে জন্ম দিয়েছি। তোর ছেলেকে আজ থেকে গোপাল বলে ডাকবে। তোর ছেলে জন্মের পর মাছ মাংস খায়নি ধর্মপরায়ন ছিল। কিন্তু তোদের অনিয়ম ও অশুদ্ধতার কারনে পরিচয় দেই নি। তোর আকুতিতে আমি স্বয়ং তোর ছেলের মাঝে বিরাজিত হয়েছি। সামনের কৃষ্ণ পক্ষে আমাকে তোর ঘরে স্থাপিত কর। তোমরা এখানে গোপাল মন্দির তৈরি করে দিও। তোদের মঙ্গলের জন্য এই গুপ্ত বৃন্দাবনে আমি এসেছি।এরপর থেকে প্রতিদিন গোপাল কথা বলতেন।
শ্রী গোপাল আদেশে ২৪ শে শ্রাবণ ১৪১৪ বাংলা ১০ ই আগষ্ট ২০০৭ ইং রোজ শুক্রবার কৃষ্ণপক্ষে দ্বাদশী তিথীতে পিতলের বিগ্রহ স্থাপিত করেন। কিছুদিন পর নিজগুনে কৃপা করে শিলা দিলেন। এভাবেই নিত্য গোপালের ভোগ রাগ হয়। প্রতিদিন অনেক দূরদুরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ আসতে শুরু করে।প্রতি আমাবশ্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে বাবার শ্রীমুখের বানী শোনার জন্য তাকে দর্শণ ও কৃপা পাওয়ার জন্য প্রচুর ভক্তবৃন্দের সমাগম হতে শুরু করল। ২৪ শে মাঘ ১৪১৪ বাংলা শ্রী গোপাল অঙ্গনে মন্দির নির্মাণ করার ভ্রত গ্রহণ করি আমরা। তারপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় এবং ভক্তবৃন্দের পরিশ্রমের ফলে ১৫/০৬/২০১০ ইং তারিখে অষ্টপ্রহরব্যাপী এক লীলা সংকীর্তনের মাধ্যমে পরম প্রভু গোপাল মন্দির প্রতিষ্টা হয়। সেই দিন দুরদূরান্ত থেকে আসতে থাকে ভক্তবৃন্দ। আজ ও প্রতিদিন নিয়মিত গোপালের আদেশ মতো ভোগ লাগানো হয়। ভক্তবৃন্দ আসেন....................
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS